প্রধান শিক্ষকের বাণী
জ্ঞানই শক্তি। কোনো জাতি শিক্ষা ছাড়া সমৃদ্ধ হতে পারে না। এটি মানুষের মনের অন্ধকারকে আলোকিত করে। মানুষ জন্ম থেকেই শেখা শুরু করে, কিন্তু তাকে একটি প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে হয়। একজন শিক্ষিত মানুষই পরিপূর্ণ মানুষ, এবং সে যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। মহান ব্যক্তি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, "আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত সমাজ দেব।" তাই আমরা সহজেই শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি।
স্কুল ইতিহাস
দুর্গাপুর ইউনিয়ন, আদিতমারী, লালমনিরহাটে অবস্থিত দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী ও সমাদৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পেছনে স্থানীয় সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তারা বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছিলেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়টি সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হতো, তবে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য শিক্ষকেরা নিবেদিত প্রাণভাবে কাজ করেছেন। ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষাদান ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়েছে। স্থানীয় জনগণও বিদ্যালয়টির সঙ্গে সবসময় সহযোগিতা করেছে, যার ফলে এটি এলাকায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে।
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের চরিত্র, শৃঙ্খলা, এবং সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তুত হয়।
একজন শিক্ষিত মানুষ সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে—এই দর্শনকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে নিবেদিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি স্থানীয় সমাজের শিক্ষার মান উন্নয়নে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।


